রাজ‍্য সরকারের তুমুল সমালোচনায় বিজেপি নেতা রাজু বন্দ‍্যোপাধ‍্যায়

17th August 2021 9:52 am বাঁকুড়া
রাজ‍্য সরকারের তুমুল সমালোচনায় বিজেপি নেতা রাজু বন্দ‍্যোপাধ‍্যায়


দেবব্রত মন্ডল ( বাঁকুড়া ) :  খেলা দিবসের নামে আজকের দিনে ১৯৪৬ -র গ্রেট ক্যালকাটা কিলিংসকে 'মান্যতা দিচ্ছে রাজ্য সরকার'। অভিযোগ বিজেপির রাজ্য সহ সভাপতি রাজু ব্যানার্জীর।  বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুরে দলের তরফে 'পশ্চিমবঙ্গ বাঁচাও' কর্মসূচীতে যোগ দিয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি এই অভিযোগ করেন।

এপ্রসঙ্গে বলতে গিয়ে রাজু ব্যানার্জী আরো বলেন, গ্রেট ক্যালকাটা কিলিংস এর সঙ্গে খেলা হবে মিলিয়ে দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী কি বার্তা দিতে চাইছেন ? সেদিন সংগঠিতভাবে গণহত্যা হয়েছিল। সেদিনের খেলার সঙ্গে আজকের খেলা মিলে যাচ্ছে। তাই রাজ্যের মানুষের কাছে আবেদন থাকবো গ্রেট ক্যালকাটা কিলিংসের সঙ্গে আজকের খেলা দিবস কোন বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। আজকের দিনটিকে মান্যতা দেওয়া মানে অন্য দেশকে মান্যতা দেওয়া হচ্ছে বলে বিজেপি রাজ্য সহ সভাপতি অভিযোগ করেন।

এদিন রাজু ব্যানার্জীর নেতৃত্বে 'পশ্চিমবঙ্গ বাঁচাও দিবস' উপলক্ষ্যে বিষ্ণুপুর শহরে মিছিল শুরু করলে রবীন্দ্র স্ট্যাচুর সামনে বিশাল পুলিশ বাহিনী তাদের পথ আটকায়। উপস্থিত পুলিশ কর্মীদের সঙ্গে তাদের সামান্য ধ্বস্তাধ্বস্তিও হয়।

পুলিশের তরফে বিজেপির মিছিল আটকানো প্রসঙ্গে রাজু ব্যানার্জীকে সাংবাদিকরা প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, 'আমরা অনুমতি নিইনি বলে আমাদের আটকানো হলো। অথচ খেলা হবে-হবে বলে যে ডি.জে বাজছে, পিকনিক হচ্ছে তার অনুমতিপত্র দেখানোর কথা বলুক। বিরোধীরা কোন কর্মসূচী নিলে তা করতে পারে না। অথচ কোভিড বিধি না মেনেই শাসক দল দেদার কর্মসূচী করছে বলে তাঁর অভিযোগ। নিজেদের রাজ্যে 'গণতন্ত্র নেই, অন্য রাজ্যে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা'র দিবাস্বপ্ন দেখছে বলে তিনি দাবি করেন।

এদিনের এই কর্মসূচীতে রাজু ব্যানার্জী ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন দলের বিষ্ণুপুর সাংগঠনিক জেলা সভাপতি সুজিত অগস্থী, কোতুলপুরের বিধায়ক হরকালী প্রতিহার, ওন্দার বিধায়ক অমরনাথ শাখা প্রমুখ।





Others News

মল্লরাজ ভূমিতে তোপধ্বনিতে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ : পুজো ঘিরে উন্মাদনা

মল্লরাজ ভূমিতে তোপধ্বনিতে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ : পুজো ঘিরে উন্মাদনা


দেবব্রত মন্ডল ( বাঁকুড়া ) : তোপধ্বনি তে কেঁপে উঠল বিষ্ণুপুর । শুরু হল মল্ল রাজাদের ১০২৫ বছরের অষ্টমী পূজোর সন্ধিক্ষণ।

প্রাচীণ ঐতিহ্য ও পরম্পরা মেনে আজও নিষ্ঠাভরে বিষ্ণুপুর রাজ বাড়িতে দেবী দুর্গা 'মৃন্ময়ী নামে পূজিতা হন। জানা গিয়েছে, পূর্ব প্রথা মতোই প্রাচীণ রীতি মেনে মহাষ্টমীর সন্ধিক্ষণে কামান দাগার মধ্য দিয়ে বিষ্ণুপুর রাজ বাড়িতে শুরু হয়ে গেল 'বড় ঠাকরুনে'র পুজো। তবে এবার করোনা পরিস্থিতির মধ্যেও দর্শক সাধারণের উপস্থিতি ছিল বাঁধভাঙ্গা। সরকারী নিয়মকে মান্যতা দিয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে শুরু হয়েছে দেবী বন্দনা। এমনকি এখানে কামান দাগার পর্বেও অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বছরে অল্প সংখ্যক লোককে নিয়ে ঐ কাজ সম্পূর্ণ করা হয়েছে।

শুরুর সময় থেকে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ ঘোষণা করা হয় বড় কামানের গর্জনের শব্দে। যার আওয়াজে রাজবাড়িতে আরতি নৃত্যও শুরু হয়ে যায়।